বেড়েই চলেছে চিনির দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে এখন হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতা। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত, খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে আরও বেশি। দাম বাড়ার পেছনের কারণ অন্তর্জাতিক বাজার।
ক্রেতার প্রতিদিনের ভোগ্যপণ্য চিনি। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে এই চিনির দাম। এক কেজি চিনি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। খোলা চিনির দাম একটু কম হলেও, দাম বেড়েছে পাইকারী বাজারে। ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের দাম বাড়ে, কিন্তু সে তুলনায় আয় বাড়ে না আমাদের।
প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পণ্যের দাম বিশ্লেষণ করে থাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি। সেই টিসিবি’র তথ্য বলছে মাসের ব্যবধানে চিনির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১২ শতাংশেরও বেশি। আর বছরের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধির হার ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ, লাগামহীনভাবে হু হু করে বাড়ছে চিনির দাম।
আমদানির মাধ্যমেই দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ হয়। তাই বিশ্ব বাজার উঠা-নামার ওপর নির্ভর করে স্থানীয় বাজারে চিনির দাম। করোনামহামারির এই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে র-সুগারের দাম কিছুটা বাড়লেও তার চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে স্থানীয় বাজার।
অত্যবশকীয় পণ্য বিপণন আইন অনুযায়ী দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করার থাকলেও তা করেনি দেশীয় চিনি উৎপাদনকারী কোন প্রতিষ্ঠান। চেষ্টা করেও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কেউ।
/এসএইচ
Leave a reply