ফরাসি লিগে নিস বনাম মার্সেইয়ের ম্যাচে দর্শকদের সাথে খেলোয়াড়দের তুমুল মারামারিতে পণ্ড হয়ে গেছে ম্যাচ। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে দর্শকেরা মাঠে ঢুকে গেলে খেলোয়াড়, স্টাফ এবং বিপুল সংখ্যক দর্শক জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতি ও মারামারিতে।
লিগ ওয়ানের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নিস এবং মার্সেইয়ের মধ্যকার রোববার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যার ম্যাচটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ নিসের নিজেদের মাঠে তাদের সমর্থকেরা মার্সেইয়ের খেলোয়াড়দের সাথে সংঘর্ষে জড়ালে এই পরিস্থিতি চলে প্রায় ঘণ্টাখানেক। এরপর আর ম্যাচটি শেষ করার মতো পরিস্থিতি ছিল না।
খেলার শেষদিকে নিসের আলিয়াঞ্জ রিভেইরা স্টেডিয়ামে ঘটে এই সংঘর্ষের ঘটনা। ক্যাসপার ডলবার্গের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল নিস। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মার্সেই একটি কর্নার পায়। কর্নার কিক নিতে যাওয়া মার্সেইয়ের খেলোয়াড় দিমিত্রি পায়েতের পিঠে সজোরে এসে লাগে একটি বোতল। মার্সেইয়ের অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকেও বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। পায়েত বোতল তুলে পাল্টা ছুঁড়ে মারেন দর্শকদের দিকে। পায়েতের সতীর্থ আলভারো গঞ্জালেস ও মাতেও গুয়েনডোজি ছুটে যান পায়েতের সমর্থনে। নিসের অধিনায়ক দান্তে এগিয়ে আসেন পরিস্থিতি শান্ত করতে।
নিরাপত্তারক্ষীরা দর্শকদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরেই আটকে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষুব্ধ দর্শকের সংখ্যা যায় অনেকটাই বেড়ে। দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও ইতোমধ্যে মাঠে প্রবেশ করে ফেলে কয়েক ডজন দর্শক। তারা আরও উগ্র হয়ে উঠলে দুই দলই মাঠ ত্যাগ করে। মার্সেইয়ের কোচ হোর্হে সাম্পাউলিকে অবশ্য তার দলের স্টাফরা জোর করে মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ অফিসিয়ালরা বাকি খেলা শেষ করার জন্য জন্য বললেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাজি হয়নি মার্সেই।
মার্সেই প্রেসিডেন্ট পাবলো লঙ্গোরিয়া টুইট করে ঘটনাটিকে ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, লিগ ওয়ান আবার খেলাটি শুরু করতে বলেছিল। কিন্তু যেখানে আমার খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, সেখানে আমরা খেলতে রাজি হতে পারি না।
ফ্রেঞ্চ পত্রিকা এল ইকুইপে জানিয়েছে, মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন মাতেও গুয়েনডোজি এবং লুয়ান পেরেস।
Leave a reply