পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিঁখোজের প্রায় চার মাস পর দরিদ্র এক ভ্যানচালকের কিশোরী মেয়েকে (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়েরের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জিল্লুর রহমান ওরফে শান্তি জোমাদ্দার (৫২) উপজেলার দুই নং পত্তাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোররাতে শান্তিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত ওই কিশোরীর বাড়ির পাশে ওই আওয়ামীলীগ নেতা শান্তির একটি মাছের ঘের রয়েছে। সেই সূত্রে প্রায়ই ওই কিশোরীকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো শান্তি। এ সময় ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখাতো সে। তবে বিষয়টি জানার পর শান্তির সাথে যোগাযোগ করলে সে ওই তরুণীর বাবাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়।
গ্রেফতার শান্তি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায়, বাধ্য হয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই ওই কিশোরীকে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। এতে মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয় শান্তি। বিয়ের কিছুদিন পর বাবার বাড়িতে এসে আবার একা শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্য এক যুবকের সহায়তায় গত ১৬ এপ্রিল ওই কিশোরীকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় শান্তি। এরপর ওই কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে সেখানে তাকে বিয়ের নাটক করে। কিশোরীকে কিছুদিন সেখানে রেখে পরবর্তীতে তাকে এক নারীর সাথে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয় সে। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী।
পরবর্তীতে, ওই কিশোরীর বাবা গত ১৩ আগস্ট ইন্দুরকানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই কিশোরীকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ইন্দুরকানীতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভুক্তভোগীর বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পর পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়েরের পর একমাত্র অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত শান্তিকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
/এস এন
Leave a reply