স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র যেন নিজেই রোগী, ১৫ বছর ধরে নেই কোনো মেডিকেল অফিসার

|

রামপাল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের ভবন ব্যবহার অনুপযোগী

প্রতিদিন শতাধিক রোগীর ভিড় অথচ বেহাল অবকাঠামো। বৃষ্টিতে ছাদ চুঁয়ে পড়ে পানি; ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে কাদাপানিতে একাকার। এমন দশা বাগেরহাটের রামপাল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের। উপকূলীয় এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চালু করা স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটিতে একমাত্র মেডিকেল অফিসারের পদটি শূন্য রয়েছে ১৫ বছর ধরে।

বাগেরহাটের রামপালের উপকূলীয় এলাকার মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে ১৯৪২ সালে যাত্রা শুরু রামপাল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দূরে হওয়ায় আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের প্রথম ভরসার জায়গা এই স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি। অথচ স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটির বাইরে থেকে দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনো ভবন।

রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ দেন একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও একজন ফার্মাসিস্ট। বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ায় নষ্ট হয় ওষুধপত্র। স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানালেও সমস্যাগুলো সমাধানে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে জানায় স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বেহাল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের কথা জানা আছে বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমানের। অবকাঠামো সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বাগেরহাটে মোট ৮টি স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রামপাল, মঘিয়া, বিষ্ণুপুর ও দৈবজ্ঞহাটি স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের অবস্থা বেশি খারাপ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply