ভরা মৌসুমেও কমেনি চালের দাম। এমনকি আমদানির পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না চাল মজুদ করার প্রবণতা। অনেক খুচরা দোকানে মিনিকেট ও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
ভারত থেকে চাল এনে চালের চাহিদা সামাল দিচ্ছে সরকার। বড় চালানগুলো আসছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা থেকে। এছাড়া বেসরকারিভাবে ১৭ লাখ টন চাল আনার অনুমতি পেয়েছেন ৪২৮ ব্যবসায়ী। আরও দেড় লাখ টন আমদানি করবে সরকার নিজেই।
কিন্তু এত উদ্যোগের পরও বড় প্রভাব পড়েনি খুচরা চালের বাজারে। দোকানভেদে এখনও ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মোটা চাল, মিনিকেটের জন্য গুনতে হবে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা আর পাইজামের দর ৪৮ টাকা। চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম বেশি কেন তা বুঝতে পারছেন না ক্রেতারা।
মিলাররা দায় চাপাচ্ছে কৃষকের ওপর। তাদের অভিযোগ, মিলে যে চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা টাকা দরে বিক্রি হয়, রাজধানীতে এসে তার দাম দাঁড়ায় অন্তত ৬০ টাকায়। অথচ দুই পর্যায়ে দামের ব্যবধান কোনোভাবেই ২ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবুও চালের দাম না কমায় মিলাররা দুষছেন সরকারের দীর্ঘসূত্রতাকে। সাধারণ মানুষ বলছেন সরকার সবকিছুর মূল্য স্বাভাবিক দেখালেও বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না। মূলত চালের দামের ঊর্ধ্বগতি নামছেই না।
চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা মূলত দুষছেন কৃষককে। তাদের দাবি দাম না কমার দায় কৃষকের। ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষক মজুদদারি শুরু করায় ধানের ও চালের দামে তার প্রভাব পড়ছে।
এসবের ওপর হঠাৎ বন্যায় দেশের অন্তত ১২টি জেলায় আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত। বাজারে এর কেমন প্রভাব পড়ছে তা বোঝা যাবে ডিসেম্বরে।
Leave a reply