করোনাকালে ক্রীড়াঙ্গনেও বিরাজ করছে অস্থিতিশীলতা। লকডাউন উঠিয়ে নেয়া হলেও, এখনও নিষ্প্রাণ গুলিস্তানের স্টেডিয়াম পাড়া। বড় দু-একটি ফেডারেশন নিজেদের উদ্যোগে খেলা চালিয়ে গেলেও পৃষ্ঠপোষকের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে অনেকগুলো খেলা। দীর্ঘ বিরতির পর নতুন করে খেলা শুরুতে তাই হিমশিম অবস্থা ফেডারেশনগুলোর।
ছুটির দিনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সব খেলার সবগুলো ভেন্যুই থাকতো ব্যস্ত, সরগরম। স্টেডিয়াম চত্ত্বর জুড়ে থাকা ফেডারেশনগুলোতে থাকতো কোন না কোন খেলা। কিন্তু করোনাকালে সেই চিত্র পাল্টে স্টেডিয়াম পাড়ার এখন একেবারেই মলিন চেহারা।
দীর্ঘদিন করোনার কারণে বন্ধ থাকা খেলাগুলো নতুন করে শুরু করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। কারণ যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় খেলা মাঠে গড়ায়, ধীরে ধীরে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর বলেন, করোনায় আমাদের চেয়েও বাজে ইন্ডিয়ায়, তবুও তারা খেলছে। আরও কিছু দেশ আছে যাদের অবস্থা আমাদের থেকেও খারাপ, তবুও তারা কোভিড পরিস্থিতি মুকাবেলা করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হ্যান্ডবল ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক এস এম খালেকুজ্জামান জানান, আমরা সমস্যাগুলো বুঝি। স্পন্সর যারা করেন তাদের অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলোও মাথায় রাখতে হবে। আমরাও চাচ্ছি যতদ্রুত সম্ভব অন্যান্য অসুবিধা দূর করার। এভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবশ্যই কঠিন। স্পন্সররা কতটুকু এগিয়ে আসবেন আমরা সঠিক জানিনা। আমরাও চাচ্ছি নতুন করে শুরু করতে।
তারপরও ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা ক্রীড়াবান্ধব পৃষ্ঠপোষকদের জন্য অনেকেই চেষ্টা করছেন খেলা মাঠে ফেরাতে। যেখানে টেবিল টেনিস ফেডারেশন সেই সম্পর্ক বজায় রেখে শুরু করেছে ফেডারেশন কাপ। যদিও ক্রীড়াঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তাদেরও।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই সময়টায় আপনি জানেন যে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দার এই দুঃসময়ে তারাও এগিয়ে আসছেন না। তাদেরও
ফেডারেশনগুলো নিয়ে কাজ করা জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন এসোসিয়েশন অবশ্য এর জন্য পৃষ্ঠপোষকদের বাড়তি সুযোগ করে দেবার আহবান জানাচ্ছে সরকারের প্রতি।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, খেলা শুরু করতে এখন সরকারী প্রণোদনার কোনো বিকল্প নেই।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই হ্যান্ডবলের জুনিয়র টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। যেখানে এরই মধ্যে কথা দিয়েও একটি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান নিজেদের সরিয়ে নেবার কথা শোনা যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে ফেডারেশনগুলোর জন্য অশনি সংকেতও বলা যায়।
/এসএইচ
Leave a reply