টানা দেড় বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এর আগে আগামী ১৫ অক্টোবরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার নির্দেশনা থাকলেও উপাচার্যরা চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে স্কুল-কলেজের সাথে মিলিয়েই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আবারও আলোচনা হবে। তিনি জানান, উপাচার্যরা চাইলে ১২ সেপ্টেম্বর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারেন। অথবা অন্য কোনো তারিখও নির্ধারণ করা যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জানান, এরই মধ্যে একটি পথরেখা ঠিক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এরপর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি হিসেবে আগামীকাল ক্রিয়াশীল ১৩টি ছাত্রসংগঠন নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সভার আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ছুটি।
এর আগে, শুক্রবার দীপু মনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এর মধ্যে পড়বে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply