ইসরায়েলের দৃষ্টিতে যা চরম অপরাধ, ফিলিস্তিনিদের কাছে সেটাই গাজার বিজয়

|

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের দৃষ্টিতে যা চরম অপরাধ, সেটিকেই গাজার অন্যতম বিজয় মনে করেন উল্লসিত ফিলিস্তিনিরা। একদিকে কারাগার থেকে পালানো ফিলিস্তিনি বন্দিদের পরিবারকে টার্গেট করে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। অন্যদিকে, পলাতক বন্দিদের সমর্থনে আনন্দ মিছিল করায় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। সহিংসতায় আহত হয়েছে শতাধিক।

শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। মানবাধিকার সংগঠন- আদ্দামির বলছে, চিরুনি অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে পালানো বন্দিদের পরিবারের ৭ সদস্যকে। তাদের বেশিরভাগই জেনিন এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করেন।

জেল পালানো বন্দি মোহাম্মদ আরদা’র বোন নাহেদ আরদা বলেন, ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। সবকিছু তছনছ করে। আমার ভাই আহমেদকে তুলে নিয়ে গেছে সেনারা। অন্য ভাই বাসেম চিকিৎসকের বাড়ি গিয়েছিল। সেখান থেকে তাকেও গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, বন্দি পলায়নের ঘটনায় অন্যান্য কারাগারগুলোয় নজরদারি বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সেখানে আটক ফিলিস্তিনিদের সরানো হচ্ছে আরও কঠোর নিরাপত্তা সম্বলিত গারদে।

ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠন। যার প্রেক্ষিতে, কেতজোয়েত আর রামোন কারাগারে নিজেদের সেলেই আগুন লাগিয়ে দেয় বন্দিরা। শুরু করেছেন অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচিও।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইহুদি বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব কায়দায় গিলবোয়া কারাগার থেকে পালান ৬ ফিলিস্তিনি। টয়লেটের স্লাব ভেঙে সুড়ঙ্গ তৈরি করে বেরিয়ে যান তারা। তাদের চারজন ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। ধারণা করা হচ্ছে, আল-ফাতাহ্ আন্দোলনের সদস্য জাকারিয়া জুবেইদি দিয়েছেন এই অভিযানের নেতৃত্ব।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply