লাতিন আমেরিকার চূড়ায় উঠে মেসির চোখে আনন্দাশ্রু

|

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের শতভাগ উজাড় করে দেন না, সাফল্যে মোড়ানো ক্যারিয়ারে এমন অভিযোগ ও গঞ্জনা কম শুনতে হয়নি ফুটবলের বরপুত্র লিওনেল মেসিকে। এতোদিনে নিন্দুকদের মুখ অনেকবারই বন্ধ করেছেন মেসি। হয়েছেন আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর আজ উঠে গেলেন লাতিন আমেরিকার সকল ফুটবল কিংবদন্তিরও উপর, গোল সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছেন ফুটবলের রাজা পেলেকে। এমন দুর্দান্ত রেকর্ডের দিনে অশ্রু আটকে পারেননি মেসি। করেছেন হ্যাট্রিক, ছাড়িয়ে গেছেন পেলেকে, ঝরেছে আনন্দাশ্রু।

বলিভিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৬ গোল নিয়ে। পেলের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন ১ গোলে। তবে ১৪ মিনিটে যে গোল করে পেলেকে ছুঁয়েছেন মেসি, তা দেখে স্বয়ং পেলেও হয়তো খুশি হবেন এই ভেবে যে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের এক শিল্পীর হাতেই গেল তার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের ব্যাটন। বলিভিয়ার ডিবক্সের বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন ড্রিবল করে, ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলেছেন ট্রেডমার্ক নাটমেগে। তারপর মেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটটির সামনে দর্শক হয়ে গেল পুরো ফুটবল দুনিয়া, এমনকি বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পেও বাদ গেলেন না মুগ্ধ দর্শকের তালিকা থেকে।

৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলেও দেখা মিললো মেসির চমৎকার ফুটওয়ার্কের। লাউতারো মার্টিনেজের সাথে ওয়ান-টু করে নিয়েছেন শট। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারে তা প্রতিহত হয়ে আসলে খেলোয়াড়ে ঠাসা ডিবক্সে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে ডান পায়ের শটে করলেন দ্বিতীয় গোল। ছাপিয়ে গেলেন পেলেকে।

আর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসি পূর্ণ করেন তার হ্যাট্রিক। ম্যাচ শেষে দেখা গেল মেসির চোখ থেকে টপটপ করে ঝরছে অশ্রু। আর্জেন্টিনার হয়ে তার নিবেদন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে হয়তো আর কিছুই বলার দরকার হবে না কোনোদিন। ম্যাচ শেষে গোপন করেননি রেকর্ডটি নিয়ে তার লালিত আশা। বললেন, এই মুহূর্তটির জন্য আমি অপেক্ষা করেছি। এই রেকর্ডের স্বপ্ন দেখেছি। এত লম্বা সময় পর মুহূর্তটি এসেছে বলেই তা আরও বেশি বিশেষ।

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে এই রেকর্ড করা নিয়েও মেসি বললেন, রেকর্ডটির জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর কিছুই হতে পারতো না। গ্যালারিতে বসে আমার মা ও ভাইবোন উল্লাস করেছে। তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। আর আমার জন্যই তাদের এই উল্লাস। আমি আজ অত্যন্ত খুশি।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply