গ্যাংস অফ মাদারীপুর!

|

মাদারীপুরের শামসুন্নাহার ভূইয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বালুর মাঠে দশম শ্রেণির ছাত্র সৈকত সরদারকে তুলে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

মাদারীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বেশ ভাবাচ্ছে অভিভাবকদের। একের পর এক আলোচনার জন্মও দিচ্ছে উঠতি বয়সী কিশোররা। মারামারি তো করছেই পাশাপাশি জড়াচ্ছে আরও গুরুতর অপরাধে। যদিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, কঠোর নজরদারিতে আগের তুলনায় কিশোরদের সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রবণতা কমেছে অনেকটাই।

৭ আগস্ট মাদারীপুরের শামসুন্নাহার ভূইয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বালুর মাঠে দশম শ্রেণির ছাত্র সৈকত সরদারকে তুলে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তারাই ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সৈকত ও তার পরিবারের দাবি, যারা বেধড়ক মারলো, তারা এখনও হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলার পর গ্রেফতার হলে ৫ দিনও তারা হাজতে থাকেনি বলে জানালেন সৈকতের মা।

কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্যে সৈকতের পরিণতি বরণ করতে হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসেবেই গত নয় মাসে হামলার ঘটনা ৫টি।

তবে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রচেষ্টায় মাদারীপুরের এই গ্যাং কালচার এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গ্যাং কালচার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচিও নেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এরইমধ্যে ৪-৫টি স্পট চিহ্নিতের কথা বলছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, টহল পুলিশ নিয়োজিত করে তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সন্দেহভাজনদের একসাথে চলাফেরা করতে দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এরইমধ্যে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এসব গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply