কচুরিপানায় ঢেকে গেছে কাপ্তাই লেক

|

স্বচ্ছ পানির হ্রদ কাপ্তাই এখন ঢেকে গেছে কচুরিপানায়। উজানের ঢলে নেমে আসা এসব কচুরিপানা জাগ দিয়ে রাখা হয়েছিল মাছ ধরতে, যা এখন নৌ-চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । পর্যটকদের কাপ্তাই ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ নৌকা ভ্রমণ হলেও এখন তা হয়ে পড়েছে আতঙ্কের নাম। সম্প্রতি দু দফায় কচুরিপানায় আটকে পড়া পর্যটকবাহী বোট উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের শুভলং অংশের চিত্র দেখে মনে হবে হ্রদজুড়ে চাষ করা হয়েছে কচুরিপানা।

স্বচ্ছ পানির হ্রদ নামে পরিচিত কাপ্তাইয়ের এ অংশটি ছাড়াও, কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে বিলাইছড়ি, কাপ্তাই ও কাট্টলী হ্রদের বেশকিছু অংশ। কাপ্তাইয়ে ভ্রমণরত পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকে পাহাড় বেষ্টিত হ্রদে নৌকা ভ্রমণ। তবে এখন আগ্রহ নিয়ে বের হলেই পড়তে হয় বিপদে। কচুরিপানায় আটকে পড়ছে নৌকা, বিকল হয়ে পড়ছে লঞ্চগুলোও।

জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে ৬টির একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা নৌপথ। হৃদের এমন অবস্থায় চলাচলে বাড়তি সময়ের পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থও।

স্থানীয় নৌপরিবহন শ্রমিকরা জানালেন, কচুরিপানায় আটকে গেলে সেখান থেকে ছোটা খুব মুশকিল। আর এর জন্য পর্যটকের আনাগোনাও কমে গেছে এলাকাটিতে। তাই এই কচুরিপানা সরাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা তাদের।

অন্যদিকে কচুরিপানা সরাতে প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চাইলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দাবি রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাঈনউদ্দিন সেলিমের।

তবে প্রশাসনের দাবি, বিশাল হ্রদের কচুরিপানা পরিষ্কার করা কঠিন, তবে সমস্যাটি সমাধানে তারা বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছেন বলে জানালেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।

সম্প্রতি দুই দফায় কাপ্তাই হ্রদের কচুরিপানায় আটকে পড়া পর্যটকবাহী দুটি বোট উদ্ধার করেছিলো ফায়ার সার্ভিস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply