আখলাকুস সাফা:
রাজধানীর কুড়িল-জোয়ার সাহারা এলাকার লাখের ওপর মানুষ পানি পাচ্ছে না এক মাস ধরে। নানান বিকল্পে এতোদিন চলে গেলেও ১৪ দিন ধরে ১ ফোটা পানির দেখা নেই উত্তর সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায়। করোনায় পরিচ্ছন্ন জীবন তো দূরের কথা, খাওয়া-পড়া নিয়েই হিমশিম অবস্থায় সেসব এলাকার মানুষ।
এলাকার একজন গৃহিনী বলেন, এখন যে পানি দিয়ে থালাবাসন ধোয়ার কাজ করা হচ্ছে অন্য সময় এই পানি আমরা ফেলে দিতাম। এমনকি এখন চাল ধোয়ার পানিও আমি অন্য কাজে ব্যবহার করছি।
কলে পানি নেই ১ মাস। ফাঁকা ট্যাঙ্কিতে শ্যাওলা পরেছে এতোদিনে। ময়লা কাপড় জমে যাচ্ছে দিনকে দিন, বড় হচ্ছে স্তূপ। রান্নার পানি নিয়ে যখন টানাপড়েন কাপড় ধোঁয়া তাদের কাছে বিলাসিতা।
এলাকার আরেকজন জানান, আমার বৈধ মিটার আছে দুটি, এরপরও পানি পাই না। আবার এভারেজ ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বিল করে রাখছে।
পানির অপেক্ষায় পাইপ ধরে ট্যাঙ্কির দিকে চেয়ে রাত কাটে বাড়ি মালিকদের। ঘুম ভাঙলে দাঁত ব্রাশের পানিও জোটে না ভাড়াটিয়াদের। ১ মাসে বাসা পাল্টে ফেলেছেন অনেকেই। প্রতি বাড়িতেই ঝুলছে টু-লেট।
কুড়িল বড়বাড়ি, হিম বাড়ি, মসজিদ গলি, চৌরাস্তা, নুরানি মসজিদ রোড ও অলিপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় পানি নিয়ে এ দৈনদশা। পাশের ওয়ার্ড থেকে নানান কসরত করে পানির ব্যবস্থা করা গেলেও তা নিরবচ্ছিন্ন নয়। ১৪ দিন হলো ১ ফোটা পানি পায়নি বেশিরভাগ বাড়ি। বাসিন্দাদের যত অভিযোগ ওয়াসার বিরুদ্ধে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া বলেন, ওয়াসার থেকে বললো যে আরও বিশ দিন লাগবে এই সমস্যা সমাধান হতে। তখন আমি বললাম একটা মানুষ তো বিশ দিন পানি ছাড়া থাকতে পারে না। আপনি গাড়ি দিয়ে হোক আর অন্য কোনো ব্যবস্থা করে হোক পানি দেয়ার ব্যবস্থা করুন। ইমিডিয়েটলি একটা ব্যবস্থা করেন।
উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বাস। পানির টেকসই সমাধানের জন্য দরকার আলাদা পাম্প। এলাকাবাসীর কাছেই পাম্পের জায়গা চেয়ে বসেছে ওয়াসা। জনপ্রতিনিধি বললেন, এটা সম্ভব নয়। পাম্পের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারি জায়গাতেই।
ইউএইচ/
Leave a reply