চার হাজার টাকা বেতনের চাকুরে কীভাবে ৪৬০ কোটি টাকার মালিক হলো সেই আলোচনা এখন দ্বীপ জেলা ভোলায়। সম্পদের পাহাড় গড়া নুরুল ইসলাম শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক ও কৌশলী। শহরে বৈভবের জীবন কাটানোর কোনো প্রমাণই রাখেননি গ্রামে। টেকনাফ বন্দরের সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামের বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। একইসাথে ক্ষোভও জানিয়েছে তারা।
আট বছরের চাকরি জীবনে ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ। অথচ তার বেতন মাত্র ৪ হাজার। টেকনাফ বন্দরের সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলাম গ্রেফতারের পর সামনে এসেছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের চাঞ্চল্যকর গল্প।
অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া নুরুল ইসলাম শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক ও কৌশলী। শহরে বৈভবের জীবন কাটালেও স্থায়ী ঠিকানা ভোলা সদরের পশ্চিম কানাইনগরে বিত্তের কোনো প্রমাণ রাখেননি। অভিভাবকরা বেঁচে থাকলেও পরিবার নিয়ে ঢাকায় বাস করা নুরুলের যাতায়াত ছিল না গ্রামে। তাই নিকট আত্মীয়দেরও ধারণা নেই তার বিপুল সম্পদ সম্পর্কে।
এলাকার মানুষ বলছেন, টেকনাফে কাস্টমসে চাকরি করে বলেই জানে সবাই। তবে তারা কেউ জানেনই না যে নুরুল এত টাকার মালিক।
মাদক চোরাচালান আর দালালী কারবারে অর্জিত শত শত কোটি টাকা সম্পদের হিসাব এখন র্যাবের হাতে। চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা বনে যাওয়া নুরুলের ৩৭টি প্লট-ফ্ল্যাট আর ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খবরে যতটা হতবাক স্থানীয়রা তার চেয়ে বেশি আছে ক্ষোভ। একজন বললেন, এলাকায় কাউকে কোনোদিন একটাকা ভিক্ষাও দেয়নি নুরুল।
২০০১ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কল্যানে টেকনাফ বন্দরে দৈনিক ১৩০টাকা মজুরিতে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দেন নুরুল ইসলাম।
Leave a reply