হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম আর বির্তর্কিত কর্মকাণ্ডে হোঁচট খেতে বসেছে পুরো ই-কমার্স খাত। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় এই শিল্পের সাতশোর বেশি উদ্যোক্তা।
খাতটির প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেপরোয়া ‘ডিসকাউন্ট মডেল’ বন্ধের দাবি তাদের। আর এজন্য সুষ্ঠু বাজার প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে চায় প্রতিযোগিতা কমিশন।
করোনা মহামারির মধ্যে যে কয়েকটি খাতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে, তার মধ্যে ই-কমার্স একটি। বছরের ব্যবধানে এ খাতে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এমন সম্ভাবনাময় খাত এখন হোঁচট খেতে বসেছে। গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম আর বির্তকিত কর্মকাণ্ড উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে বাকিদের।
চলতি বছরে দেশের ই-কমার্সে, ৩শ কোটি টাকার বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। উদ্যোক্তারা মনে করেন, ইভ্যালিসহ হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম উঠে আসায় বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছে। তাই নতুন করে বিনিয়োগকারী পাওয়া চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রিয়শপ ডট কমের সিইও আশিকুল আলম খান।
গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফেরদৌস আল বসিরের মতে, ডিসকাউন্ড মডেল নয়, বরং প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
অন্যতিকে একচেটিয়া বাজার ভেঙে প্রতিযোগিতা তৈরির জন্য পদক্ষেপ নিতে চায় প্রতিযোগিতা কমিশন। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সনমফিজুল ইসলাম জানাচ্ছেন এমন কথা।
বর্তমানে ই-কমার্সের বাজার ২০ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছরের ডিসেম্বরেও ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে সাতশো। জানা যায়, ২০১৬ সালের পর থেকে দেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হতে শুরু করেছে। ২০১৭ সালে ই-কমার্স বাজারের আকার ছিল ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের শেষে গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
Leave a reply