ম্যাচের বাকি আর ১৫ মিনিট, যেখানে সবার প্রত্যাশা জয়ের। এমন মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় সব কোচের কাছেই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়ের নামটি লিওনেল মেসি, কিন্তু মরিসিও পচেত্তিনোর নামটি আসবে না সেই কোচদের তালিকায়। লিওর বিপক্ষে ফরাসি লিগের ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় মেসিকে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে উঠিয়ে নেন পচেত্তিনো, আর নামান আশরাফ হাকিমিকে। এই নিয়ে চলছে বিতর্ক; অসন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে মেসির।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে দেখা যায়, মেসি তার বাম হাঁটুতে কিছুটা ব্যথা হয়তো অনুভব করছিলেন। আরও দেখা যায়, বেঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করে মেসি বলছেন, তিনি ঠিক আছেন। সবাই যখন মেসির কাছ থেকে জাদুকরি মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন ম্যাচ জয়ের জন্য, পার্ক দ্য প্রিন্সেসে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মেসিকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয়া ভালো লাগেনি অনেক সমর্থকের কাছেই। মেসিকে দেখেও মনে হয়েছে, তারও পছন্দ হয়নি কোচের সিদ্ধান্ত।
মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় পচেত্তিনোর সাথে মেসির দৃষ্টি বিনিময়ের মুহূর্তটিও জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। কারণ ৯০ মিনিটের আগে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ায় অভ্যস্ত নন ইউরোপের ইতিহাসে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে সবচেয়ে বেশি গোল করা মেসি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে দেদারসে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় পচেত্তিনো ব্যাখ্যা করেছেন তার এই সিদ্ধান্ত। বলেছেন, দলের স্বার্থেই সিদ্ধান্তটি নেয়া। সবাই জানে আমাদের দলে দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত তো একজনকে নিতেই হবে আর এটাই কোচের কাজ। এসব সিদ্ধান্তের সাথে কেউ একমত হতে পারে আবার নাও পারে। আমি মেসিকে জিজ্ঞেস করেছি, সে কেমন বোধ করছে। মেসি জানিয়েছে, সে ঠিক আছে। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।
তবে মেসিকে বদলি করার ব্যাপারে পচেত্তিনোর কথায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে ব্যাপারটি উঠে এসেছে তা হলো, তিনি মেসির হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে কিছুই বলেননি। অর্থাৎ, সিদ্ধান্তটি ইনজুরির কারণে নয়, এসেছিল কৌশলগত কারণে। আর বিতর্কের কারণও এটি।
/এম ই
Leave a reply