স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার মদনে দুলাভাইয়ের ধর্ষণে শ্যালিকার সন্তান জন্ম হওয়ায় ঘটনায় মানিক মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে মদন থানার পুলিশ।
রোববার বিকালে তাকে নেত্রকোণা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মানিকের সাথে রং নম্বরে প্রেমের সম্পর্ক হয় নেত্রকোণার মদন উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বড় বোনের। দীর্ঘদিন আগে প্রেমের টানে মানিক মিয়া মদন উপজেলায় এসে ওই তরুণীর বড় বোনকে বিয়ে করে মদনেই সংসার জীবন শুরু করে। সংসার জীবনে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তাদের। সম্প্রতি মানিক মিয়া তার শ্যালিকাকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার এক পর্যায়ে ওই তরুণী (শ্যালিকা) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে মানিক মিয়া নোয়াখালীতে পালিয়ে চলে যায়।
এদিকে ২০২১ সালের জুন মাসে ওই তরুণী (শ্যালিকা) একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোণা আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মদন থানায় মামলা রুজু করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে মদন থানার এসআই আব্দুল আজিজ পুলিশের একটি দল নিয়ে শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনমুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রাম থেকে মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে মদন থানায় নিয়ে আসে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে রোববার বিকালে নেত্রকোণা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ইউএইচ/
Leave a reply