আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র্যাবিস দিবস। ২০০৭ সাল থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২২টি দেশে এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে।
প্রতিবারের মতো এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে দেশে। ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২১’ এর এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘জলাতঙ্ক: ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’।
ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ১৮৮৪ সালে জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেন। ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই মহা বিজ্ঞানী। তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হলো, বিশ্বব্যাপী এই রোগের প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই জলাতঙ্ক ভয়ানক সংক্রামক রোগ হিসেবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে। এখন পর্যন্ত এর কোনও চিকিৎসাও বের হয়নি। প্রধানত, কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে এ রোগের সৃষ্টি হয়। তবে শিয়াল, বিড়াল, বেজী, বানর এমনকি আক্রান্ত গবাদি প্রাণী থেকেও এ রোগ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে।
কুকুর বা সন্দেহভাজন জলাতঙ্ক গ্রস্থ প্রাণী দ্বারা আক্রান্তের পর রোগীর দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান যত দ্রুত সম্ভব ক্ষারযুক্ত সাবান ও প্রবাহমান পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ভালোবাবে ধুতে হবে। এতে এর ফলে ওই স্থানের রেবিস ভাইরাস অপসারিত বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। খুব সহজ এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করেই প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ ভয়ংকর ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।
Leave a reply