মৌসুম না থাকলেও তরমুজ ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোপালগঞ্জের নকড়িরচর গ্রামের কৃষক হানিফ মল্লিক। এর আগে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বর্ণি বাওড়ের কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ধাপ তৈরি করে শাক সবজির চাষ করতেন তিনি। চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের পরামর্শে ৪টি বেডে সবজির পরিবর্তে থাইল্যান্ডের সুইট ব্লাক-টু জাতের তরমুজ গাছ রোপন করেন। সেখানে মাত্র ৫০দিনে তিন শতাধিক তরমুজ ধরেছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়েছে আড়াই থেকে ৩ কেজি।
তরমুজ চাষী হানিফ মল্লিক জানান, চাষ করতে তার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০টাকা দরে।
আগে চৈত্রমাসে তরমুজের চাষ হতো। এখন নতুন পদ্ধতিতে ধাপের ওপর বর্ষাকালে ভাসমান বেডে চাষ হচ্ছে তরমুজের। ধাপের উপর এতোদিন এ অঞ্চলের কৃষকরা সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। এবার অসময়ে ভাসমান বেডের ওপর তরমুজ চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায়। আগামীতে গোপালগঞ্জে ভাসমান পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের আরও বিকাশ ঘটবে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply