পথে ঘাটে, অলিগলিতে হরহামেশা চোখে পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অনেককে। পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, অনাহারে-অর্ধাহারে পড়ে থাকা এসব মানুষের খোঁজ রাখে কজন? ঠিক এই মানবিক কাজটিই করছে টেকনাফের মানসিক রোগীদের তহবিল, মারোত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি তাদের দিচ্ছে খাবার, পোশাকসহ সব সেবা।
সীমান্ত উপজেলা কক্সবাজারের টেকনাফে পথেঘাটে প্রতিদিন দেখা মেলে ভবঘুরে, আর মানসিক ভারসাম্যহীন অনেককে। যাদের দিন কাটে অর্ধাহারে, কখনও বা অনাহারে। ২০১৭ সালে এদের নিয়ে কাজ শুরু করে ‘মারোত’। শুরুতে নিজস্ব তহবিল থেকে সপ্তাহে একদিন খাবার, চিকিৎসা, পোশাক দিতেন। মানবিক উদ্যোগ দেখে পরে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন অনেকে। মেলে কিছু সরকারি সহায়তাও।
কিন্তু গত বছর করোনার প্রকোপ শুরুর পর হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ হয়ে গেলে দেখা দেয় খাবার সংকট। এসময় নিজেরা রান্না করে মানসিক ভারসাম্যহীন শতাধিক মানুষকে খাওয়ানো শুরু করে সংগঠনের কর্মীরা, যা চলছে এখনও।
ভিন্নধর্মী সংগঠনটির পথচলা শুরু আবু সুফিয়ান, ঝন্টু বড়ুয়া, রাজু পাল ও সন্তোষ কুমারের হাত ধরে। যারা কেউ চাকরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী। এখন তাদের লক্ষ্য আরও বড়। তারা চান টেকনাফে একটি মানসিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে।
মানবিক এ উদ্যোগে তাদের পাশে থাকবে স্থানীয় প্রশাসনও। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী আশ্বাস দিলেন তাদের এই মানবিক প্রচেষ্টার সার্বিক সহায়তার।
এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন ৩০ জনের ঠিকানা খুঁজে বের করে তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন সংগঠনটির কর্মীরা।
Leave a reply