সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা চিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিম হাওলাদারের বসবাস চিলা বাজার এলাকায়। ২০১০ সাল থেকে এই ওয়ার্ডের মেম্বার তিনি। প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেলাল সরদারকে ফাঁসাতে নারী সেলাই শ্রমিককে খুন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে স্বীকারোক্তি দেয় হালিম। এই ঘটনার পর এলাকায় হালিমের নানা কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে যার শাস্তিও দাবি করছে এলাকাবাসী।
ঢাকার সাভারে ৮ এপ্রিল পারুল নামের এক সেলাই শ্রমিক খুন হলে তদন্তে নামে পিবিআই। তদন্তে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয় হালিম হাওলাদার ওরফে হালিম মেম্বার ও তার দুই সহযোগী। জানা যায়, ২০ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেলাল সরদারকে ফাঁসাতে ওই নারী শ্রমিককে হালিম খুন করেছে বলে পিবিআইয়ের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় তিন আসামি। ছাড়া পান বেলাল সরদার।
হালিম মেম্বার গ্রেফতারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছে চিলার মানুষ। তাদের অভিযোগ, ২০১০ সালে মেম্বার হওয়ার পর নানা অজুহাতে মামলায় ফাঁসিয়ে ও সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হালিম।
২০১৪ সালে চিলা ইউনিয়নের আলোচিত মুকুল হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে এজাহার নামীয় আসামি হালিম হাওলাদার। সেবারও তিনি প্রভাব খাটিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
Leave a reply