ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কট্টোর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেই সাথে ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষেও মত দিলেন তিনি।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) মহারাষ্ট্রের নাগপুরে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। সেই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা করার সময় ২০১৫ সালে আরএসএস অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (এবিকেএম)-তে গৃহীত একটি প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টানেন ভাগবত।
২০১১ সালের আদমশুমারির পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা ৮৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮ শতাংশ। মুসলিমদের জনসংখ্যার হার ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.২৩ শতাংশ।
এ নিয়ে শুক্রবার ভাগবত বলেন, এ দেশের নিজস্ব ধর্মের মানুষদের জনসংখ্যা ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে গত ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে। অন্য দিকে, ওই সময়ে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। মণিপুরে মূল ভারতীয় ধর্মের (হিন্দু) জনসংখ্যা ৮০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, বিদেশি আক্রমণের জেরে ভারতে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম এসেছে। অন্য দিকে, শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন ইহুদি ও পার্সিরা। মুসলিমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদ কিংবা হাসান খান মেওয়াতির মতো দেশপ্রেমিকদের অনুসরণ করা উচিত তাদের।
Leave a reply