স্কটল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় ইতিহাস খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে দুটি দল। নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়ার বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে ছন্দে আছে স্কটিশরা। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্য ছাড়া শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি হেরেছে বাংলাদেশ। তবে টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশও চায়, এই ফরম্যাটে স্মরণকালের মধ্যে তাদের সেরা ফর্মকে টেনে আনতে পারবে তারা বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে।
গত তিন মাসে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগার বাহিনী। দলে আছে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমরা আছেন দলের স্তম্ভ হিসেবে। সাথে আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারীরা আছেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য; যে স্ফুলিঙ্গের অভাব বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছে অনেক সময়ই। তাছাড়া সাদা বলের ওপেনার হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন মোহাম্মদ নাইম। নিজের দিনে লিটন দাস ত্রাস ছড়াতে পারেন যেকোনো বোলিং ইউনিটের বিরুদ্ধেই। আর নিজের সেরা পারফরমেন্স বড় মঞ্চের জন্য জমিয়ে রাখা সাকিবের দিকে ব্যাটিং-বোলিং দু’ক্ষেত্রেই তাকিয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশ।
দলে অলরাউন্ডারের আধিক্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এগিয়ে রাখতে পারে কোনো সাইডকে। ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহর হাতে তাই অপশনের অভাব নেই। সাকিবের সাথে মেহেদি হাসান, সাইফুদ্দিন তো আছেনই। নিজেও বল হাতে নিয়ে দলের জন্য লাকি চার্মের কাজটিও কম করেননি মাহমুদউল্লাহ।
অন্যদিকে শেষ পাঁচ ম্যাচে তিন জয় পাওয়া স্কটল্যান্ড দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রতিপক্ষ হিসেবে তারাও যথেষ্ট সুযোগসন্ধানী। কোচ শেন বার্গার তো বাংলাদেশকে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির স্তরের দল হিসেবে মন্তব্য করে শুরু করে দিয়েছেন মনস্তাত্ত্বিক খেলা। রিচি বেরিংটন, কাইল কোয়েটজার, জর্জ মান্সি, ক্যালাম ম্যাকলয়েডদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারদের দায়িত্বও অনেক। অ্যালাসডেয়ার ইভান্স, সাফিয়ান শেরিফরা নেতৃত্ব দেবেন ফাস্ট বোলিংয়ের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার উইকেট দখল করা লেগস্পিনার ক্রিস গ্রিভসও বার্তা দিয়ে রেখেছেন, তাকে সাবধানেই হয়তো খেলতে হবে টাইগারদের।
বড় মঞ্চে ভালো পারফর্ম করার জন্য স্নায়ুচাপ জয় করার কাজটা যারা করতে পারবে, দিনশেষে জয়ী হবে তারাই। স্কটিশরা ব্যাট-বলের সাথে মুখেও দিয়ে রেখেছে তেমনই ইঙ্গিত। তবে কথায় না বড় হয়ে কীভাবে মাঠে বড় হওয়া যায়, তা হয়তো দু’দফার ২০ ওভারেই দেখাবে অভিজ্ঞ বাংলাদেশ।
এম ই/
Leave a reply