‘জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা আইন ছিল বৈষম্যমূলক। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেই আইন বাতিল করে জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন’। রোববার (২৫ অক্টোবর) জম্মুতে একটি জনসভায় এমনই দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মোদি সরকারের দাবি ছিল, ওই আইন প্রত্যাহারের পরে জঙ্গি সমস্যা কমবে উপত্যকায়। তবে বাস্তবতা হয়েছে এর উল্টো। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মিরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এ সব নিয়ে অবশ্য এ দিন কোনও কথাই বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দু’বছর আগে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে মোদি সরকার। এরপর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মিরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বৈষম্যমূলক আইন ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ওই আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। কিন্তু এই সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই আইন বাতিল করেন। এর ফলে জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়নের পথ খুলে গিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয় মানুষ যে বঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ওই আইন প্রত্যাহারের ফলে শিখ, মহাজন, ক্ষত্রিয় শ্রেণির মানুষেরা কাশ্মীর উপত্যকায় জমি কেনার অধিকার পেয়েছেন। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা, গোর্খা, বাল্মিকীরা নাগরিকত্ব ও অন্যান্য একাধিক অধিকার পেয়েছেন। গুর্জ্জর ও পণ্ডিতেরা তাদের সংরক্ষণের অধিকার ফিরে পেয়েছেন। ওই আইন প্রত্যাহারের ফলে উপত্যকার নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান অমিত শাহ।
এ দিকে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কাশ্মির উপত্যকা। জঙ্গি সংগঠনের সাথে দফায় দফায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। উভয় পক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে কাশ্মির সফরে গিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর করা হয়েছে।
Leave a reply