তীব্র ভাষায় ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের নিন্দা করলো যুক্তরাষ্ট্র

|

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আবারও ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের ইসরায়েলি উদ্যোগকে ‘দুই-দেশ সমাধান’ কার্যকরের পথে এক বিরাট ক্ষতি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন।

গতকাল ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ কর্মসূচি শুরুর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র নেড প্রাইস মঙ্গলবার কড়া ভাষায় ইসরায়েলের নিন্দা করে বলেন, আমরা পশ্চিম ব্যাংকে পুনর্বাসন-প্রার্থী ১৩০০ জনের একটি দলের খবর জেনেছি। আমরা তীব্রভাবে বিরোধিতা করছি এই বসতি সম্প্রসারণের উদ্যোগের, যা কিনা এই অঞ্চলে অশান্তি কমানো ও স্থিতি ফিরিয়ে আনার পথে খুবই অবান্তর একটি প্রচেষ্টা।

ইসরায়েলের জাতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইসরায়েলও যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে বসতি সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে ‘সবচাইতে নির্দয় সমালোচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

সোমবার জাতিসংঘও এক ঘোষণায় সাফ জানিয়েছে, সব বসতি সম্প্রসারণই আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ!

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। এরপর থেকে তারা স্থানটি অধিগ্রহণ করেছে এবং দফায় দফায় বাইরে থেকে ইসরায়েলি নাগরিকদের এনে এখানে পুনর্বাসন করেছে।

এ বসতি সম্প্রসারণ উদ্যোগকে সমালোচকেরা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে থাকেন। এমনকি গত জুলাইতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা একে ‘যুদ্ধপরাধের’ সমতূল্য বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এমনকি ২০১৬ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক সিদ্ধান্তে এই বসতি সম্প্রসারণকে ‘আইনত অবৈধ’ হিসেবে রায় দেয়।

উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের অনেক আমলাই সরাসরি সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের। তাদের অভিযোগ, ‘দুই দেশ সমাধান’ বাস্তবায়নে আন্তরিক নয় ইসরায়েল।

এমনকি ইসরায়েলকে সবসময় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেবার পুরনো মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে ‘মরচে পড়া’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন জো বাইডেন। যদিও আয়রন ডোমসহ বেশ কিছু প্রকল্পে নতুন করে অর্থায়নের ব্যাপারে সম্প্রতি সবুজ সংকেতই দিয়েছেন তিনি।

সাম্প্রতিক ইস্যুতে ইসরায়েলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের শীতলতার শুরু অবশ্য গত সপ্তাহে। যখন ইসরায়েল ৬ ফিলিস্তিনি এনজিওকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে। সূত্র আল জাজিরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply