রাজধানীর বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে শীতের আগাম সবজি। যথেষ্ট সরবরাহ সত্ত্বেও বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি থামছেই না। আর নির্দিষ্ট দাম বেধে দেয়ার পরেও বাজারে প্রতি কেজি লাল চিনির দাম হাঁকিয়েছে সেঞ্চুরি। এমন অবস্থায় চিনি বিক্রিই কমিয়ে দিয়েছেন অনেক দোকানি। ব্রয়লার-লেয়ার মুরগির দর সামান্য কমলেও ডিমের বাজার চড়া।
কাঁচাবাজারে আগাম শীতের সবজি এসেছে। ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, এমনসব টাটকা সবজি থরে থরে সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কিন্তু এগুলো কেনার সামর্থ্য সীমিত আয়ের মানুষের নেই বললেই চলে। দুদিন আগেও যে যে শিম ছিল একশো টাকা কেজি, আজকের বাজারে তা ১৮০ টাকা। ছোট আকারে প্রতি পিস ফুলকপি, বাধাকপির স্বাদ নিতে হলে, গুনতে হবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একমাত্র পেঁপে ছাড়া, ৫০ থেকে ৭০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজিই নেই।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় মাছবাজারে ইলিশের দেখা মিলছে। তবে পরিমাণে বেশ কম। স্বাদ নেয়ার ইচ্ছে থাকলেও, দাম সাধ্যের মধ্যে নেই। ৭ থেকে ৮শ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চাষের কিছু মাছের দাম সামান্য কমেছে।
আদা-রসুনের দাম খানিকটা কমে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। তবে কমেনি পেঁয়াজের দাম। দেশি জাতের প্রতি কেজির জন্য গুনতে হবে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন ১৬০ টাকা।
দুদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার আর লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ আর লেয়ারের জন্য গুনতে হবে ২৪০ টাকা। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজনে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
চড়ামূল্য অপরিবর্তিত আছে চালের বাজারে। প্রতিকেজি মিনিকেট ৫৮, নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৬ আর বিআর ২৮ মিলছে ৪৮ টাকা কেজিতে।
Leave a reply