আইফোন-১২ কিনে তারা দেখলেন বাক্সের মধ্যে নেই কোনো চার্জার! না থাকারই কথা। কেননা, ২০২০ সাল থেকেই আইফোনের বাক্সে আইফোন ছাড়া কেবল একটি ইউএসবি-সি টু লাইটনিং ক্যাবল দেয় অ্যাপল।
বাক্সে ইয়ারপড বা চার্জার নে দেয়ার পেছনে অ্যাপলের যুক্তি ছিল, কাঁচামাল সাশ্রয় হবার পাশাপাশি বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কিছুটা হলেও কম হবে এতে।
কিন্তু এই যুক্তি দিয়ে সমালোচকদের পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেনি অ্যাপল। আশ্বস্ত হননি পাঁচ চীনা শিক্ষার্থীরাও। ব্যস, মামলা ঠুকে দেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, নিছক মুনাফা বাড়ানোর জন্যই অ্যাপল এমনটা করছে!
মুনাফা বাড়াতে অ্যাপল ইয়ারপড ও চার্জার ছাড়াই আইফোনের বাক্স ডিজাইন করছে- এই মতটি যারা পোষণ করেন, তাদের যুক্তিও সহজ। ফাইভ জি-তে রূপান্তরিত হতে গিয়ে এখন অ্যাপলের ফোন উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। তাই রাতারাতি আইফোনের দাম অনেকটা বাড়ানোর বদলে ভারসাম্য আনার ব্যবসায়িক কৌশল নিয়েছে তারা। ফলত, বাদ দিয়েছে ইয়ারপড ও চার্জার। অন্যদিকে, গ্রাহকেরা যদি আলাদা করে সেসব কেনে, তবেও মুনাফার সুযোগ বেড়ে যাচ্ছে।
সাংহাই ল জার্নালের প্রতিবেদনে মামলাটি বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে মামলাটির ব্যাপারে। সেখানে বলা হয়, সিয়াওফাং নামের এক ছাত্রী তার আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্সের সঙ্গে চার্জার না পেয়ে বেশ হতাশ হন।
সিয়াওফাং যুক্তি দেখান, বাক্সে যে ক্যাবল দেওয়া হয়েছে, তা ইউএসবি-সি থেকে লাইটনিং ক্যাবল। আগের মডেলের আইফোনগুলোর সঙ্গে যে চার্জার দেওয়া হতো, সেগুলোর উপযুক্ত না নতুন এই ক্যাবলটি। এর অর্থ, গ্রাহকেরা আগের চার্জার ব্যবহার করতে পারবেন না, বরং নতুন করে ইউএসবি-সির উপযুক্ত কিংবা তারহীন প্রযুক্তির চার্জার কিনতে হবে।
সিয়াওফাংয়ের দাবি, অ্যাপল আসলে চায় যে পূর্বতন মডেলের চার্জারগুলো উঠে যাক, তার বদলে বাজার দখল করুক তাদের নতুন ম্যাগনেটিক তারবিহীন চার্জার। এজন্যই পরিবেশের অজুহাত দিয়ে
অ্যাপলের বাক্সে থাকছে শুভঙ্করের ফাঁকি!
Leave a reply