নিয়ম ভাঙার ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে মেটা পরিচালিত বার্তা আদানপ্রদান অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। সোমবার প্রকাশ করা মাসিক রিপোর্টে তারা জানায়, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা বন্ধ করে দিয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ভারতীয়র হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
এর আগে অক্টোবরের গোড়ায় যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে জানা যায়, সেই সময়ের আগে ৩০ লাখ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৬ মে থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, ৫০ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে এমন অ্যাপ বা অন্য কোনো প্লাটফর্মকে মাসিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।
সবশেষ প্রকাশিত সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগস্টে ৪২০টি ও সেপ্টেম্বরে ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়ে সংস্থাটির কাছে। সেই অভিযোগের ব্যবস্থা হিসেবেই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধকরণ।
হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’ মেসেজ পরিষেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিশ্ছিদ্র রাখেন তারা। কিন্তু কোনো গ্রাহক যদি এসবের অপব্যবহার করে, তবে ছাড় দেয়া হয় না তাকেও। তাই যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আসে, তাদের মোবাইল থেকে এই অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা বন্ধ করে দেয়।
শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য দেশেও এরকম অ্যাকাউন্ট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। তাও অল্পবিস্তর নয়, সংখ্যার বিচারে তা ৮০ লাখের কাছাকাছি।
হোয়াটসঅ্যাপের বিবৃতি অনুযায়ী, অ্যাকাউন্ট বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে মূলত চারটি বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রথমত, শুধুই পরিচিতদের মেসেজ পাঠানো উচিত। কাউকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার আগে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। গ্রুপে কোনো রকম বিদ্বেষমূলক বা সদস্যদের আঘাত করার মতো মেসেজ পাঠানো হচ্ছে কিনা- তা গ্রুপ অ্যাডমিনদের নজরে থাকতে হবে। কোনো মেসেজ পেলেই তা ফরোয়ার্ড করে দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ রাখাই ভাল। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ বলে এক সঙ্গে অনেককে (বাল্ক) মেসেজ পাঠানো ঠিক নয়।
Leave a reply