ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রযুক্তিভিত্তিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির কেন্দ্র গুরুগ্রাম শহরের ৮ এলাকায় প্রকাশ্যে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নগর প্রশাসন। প্রশাসনের বরাত দিয়ে বুধবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) গুরুগ্রাম নগর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহের বাইরে মোট ৩৭টি খোলা স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে এই ৩৭টি স্থানের ৮টিতে নামাজ আদায়ের জন্য না যেতে মুসলিমদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
যে ৮টি স্থান প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে তার ৪টিই গুরুগ্রামের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ৪৯ নম্বর সেক্টরে। এছাড়া জাকারান্দা মার্গ অঞ্চলের ডিএলএফ এলাকায় ৩টি এবং সুরাট নগর অঞ্চলে ১টি স্থান রয়েছে এই তালিকায়।
গুরুগ্রামের পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার আমান যাদব বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলকার বাসিন্দারা প্রকাশ্যে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। ২৯ অক্টোবর জুমার নামাজের সময় তারা প্রতিবাদী সমাবেশও করেছেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে এ রকম এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আমান যাদব।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি যেন বিপজ্জনক না হয় সেজন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা নগর প্রশাসন বরাবর এই আট এলাকায় নামাজ আদায় নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছিলাম। নগর প্রশাসন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার ইয়াশ গার্গ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মসজিদ, ঈদগাহ এবং ২৯টি এলাকায় আপাতত মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়ে কোনো বাধা নেই। তবে মসজিদ ও ঈদগাহর বাইরে যে ২৯ টি স্থানে এখনও জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে, কোনো এলাকার বাসিন্দারা আপত্তি জানালে সেখানেও একই আদেশ জারি করা হবে।
Leave a reply