চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মতে, ২০৩০ সাল নাগাদ এক হাজারেরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে চীন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২০ সালে নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পের উন্নয়নে বিশাল অংকের বিনিয়োগ করেছে চীন। এর আগে চীন সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৪০০ পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু চলতি বছর সে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়িয়েছে চীন।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালাস্টিক মিসাইল নির্মাণসহ মিসাইলগুলো দিয়ে জল-স্থল ও আকাশপথে আক্রমণের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। ইতোমধ্যে সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে দেশটি।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালেও চীনের অস্ত্রভান্ডারে যেকোনো সময় ব্যবহারযোগ্য নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যা ছিল ২০০’র মত। পেন্টাগনের আশঙ্কা, ২০২৭ সাল নাগাদ চীনের নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যা বেড়ে ৭০০ তে পৌছুতে পারে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ হাজারে। অনুমানের তুলনায় আড়াই গুণ কম সময়ে চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের এ মজুদ গড়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন।
Leave a reply