মসজিদে জ্বলছে আগুন। গ্রামবাসীর চিৎকারে সেখানে ছুটে যান ৩৫ বছর বয়সী লিটন মিয়া। তিনি দেখতে পান একদল লোক মসজিদে কেরোসিন ঢালছে। কিন্তু বেশি ক্ষতি হওয়ার আগেই গ্রামবাসী জেগে ওঠায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। শুধু মাত্র নামাজ পড়ার কিছু মাদুর এবং মৃতদেহ বহন করা কাঠের খাটটি পুড়েছে। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়, লিটন মিয়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে শিপাহিজিলা জেলার নারাউরা গ্রামের বাসিন্দা। নারাউরা গ্রামটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সম্প্রতি এই কুমিল্লা জেলাতেই দুর্গা পূজার সময় একটি মন্দিরে মূর্তির পায়ের ওপর মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ রাখা নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে ছয় জন মারা যান। যার মধ্যে দুইজন হিন্দু রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে একটি সমাবেশ করে। সে সময়ে তারা ত্রিপুরার মুসলিমদের ওপর হামলাসহ তাদের বাড়িঘর এবং মসজিদে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
খবরে আরও বলা হয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি মূলত ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সঙ্গে সংযুক্ত। এই সংগঠনটি ভারতের হিন্দু আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীগুলির আদর্শিক ফোয়ারা যা ভারতকে একটি জাতিগত হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায়। নরেন্দ্র মোদিসহ ভারতের শাসক ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতারা আরএসএস কর্মী হিসাবে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। বাংলাভাষী হিন্দু অধ্যুষিত প্রত্যন্ত রাজ্য ত্রিপুরা বর্তমানে মোদির বিজেপি শাসিত। এখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় নয় শতাংশ মুসলিম। এ রাজ্যে মোট ৩৭ লাখ মানুষের বসবাস।
ইউএইচ/
Leave a reply