সেতু না থাকায়, খেয়া পারাপারই ভরসা ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নবাসীর। স্থানীয়দের প্রাণের দাবি থাকলেও ব্রিজ নির্মাণে সাড়া দেয়নি প্রশাসন, তাই বছর দুয়েক আগে চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে নিজেরাই শুরু করেন সেতু নির্মাণের কাজ। বর্তমানে টাকার অভাবে থেমে গেছে সেই সেতুর কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত ঐ সেতুর ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যাতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকার মতো। বাকি ৬০ ভাগ কাজ শেষ করতে যে অর্থের প্রয়োজন, তার সংস্থান করতে পারছেন না গ্রামবাসী। ফলে অসমাপ্ত সেতুর পিলারের ওপর কাঠ ও বাঁশের মাচা বসিয়ে তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে গিয়ে পানিতে পড়ে যাবার মতো দুর্ঘটনাও অহরহ ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে সেতুর কাজ শুরুর জন্য চাঁদা দিতে গিয়ে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান তারা।
এদিকে প্রশাসন সরাসরি উদ্যোগের ব্যাপারে কিছু না বললেও দিয়েছে উদ্যোগ নেবার আশ্বাস। টাঙ্গাইলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, যদিও সেতুটি এলজিইডির কোনো রাস্তার মধ্যে অবস্থিত নয়। তবু আমরা সেখানে গিয়ে দেখবো, কোনো কারিগরি সহায়তা লাগলে সেটি দেবো।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলীসহ আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখে জরুরিভিত্তিতে যাতে ঐ কাজটি শেষ করা যায়, সে ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজ হলে দূর হবে ১০ গ্রামের লাখো মানুষের ভোগান্তি।
Leave a reply