ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন ১১৯ জন। এদের মধ্যে ছিলেন আলোচিত বলিউড অভিনেতা কঙ্গনা রানাউত, পরিচালক করণ জোহর, প্রযোজক একতা কাপুর, সঙ্গীতশিল্পী শিল্পী আদনান সামিসহ প্রমুখ। তবে পুরস্কারের মঞ্চে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তুলনামূলক অনেকটাই অখ্যাত একটি নাম। তিনি তুলসি গৌড়া।
কর্নাটক রাজ্যের ৭৭ বয়সী এই নারী পরিচিত ‘বনের বিশ্বকোষ’ নামে। পুরস্কারের মঞ্চে এসেছিলেন নিজের হাল্কাকি জাতিসত্ত্বার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। এই আদিবাসী নারী তার জীবনকেও তথাকথিত সভ্যতার ‘অন্ধকারে’ নয়, বরং সাজিয়েছিলেন প্রকৃতির আদিম অকৃত্রিমতায়।
মাত্র দুই বছর বয়সে হারিয়েছিলেন বাবাকে। দরিদ্র পরিবারে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাই ছিল কঠিন। তাই আনূষ্ঠানিক পড়াশোনাটা আর হয়ে উঠেনি, অল্প বয়সেই নেমে পড়তে হয়েছিল কাজে। ১২ বছর বয়সে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে বন অধিদফতরে কাজ শুরু করেন তুলসি। পরে কাজের গুণে চাকরিও হয় পাকা।
কিন্তু সেই চাকরির অনুপ্রেরণা থেকেই কিনা তুলসির হৃদয়ে প্রকৃতি, অরণ্য ও বৃক্ষের প্রতি প্রেমটা আজীবনের জন্য রোপিত হয়ে গেলো। প্রত্যন্ত এলাকাকে সবুজে ভরিয়ে তোলাকেই বানালেন জীবনের মূলমন্ত্র। একাই রোপণ করলেন ৩০ হাজার গাছের চারা। সেগুলোই আজ আশ্রয় হয়েছে বহু প্রাণের স্পন্দনের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তুলসির ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসে যারা পদ্মশ্রী পেয়েছেন, তাদের জন্য গর্বিত।
Leave a reply