ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মানজনক বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির।
মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে সনজীদা খাতুন ও সাজ্জাদ আলী জহির পুরস্কার গ্রহণ করেন। ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, গবেষক ও শিক্ষক সনজীদা খাতুন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মীলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।
১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন সনজীদা খাতুন। এরপর ১৯৭৮ সালে বিশ্বভারতী থেকে পিএইচডি ডিগ্রিও লাভ করেন তিনি।
এদিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে দ্বিতীয় গোলন্দাজ বাহিনীকে সংগঠিত করেন। যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাব ও স্বাধীনতা পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
১৯৬৯ সালে সাজ্জাদ আলী জহির পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। আগস্টের শেষেই তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
Leave a reply