বলা হচ্ছে, বন্দরনগরীর অন্যতম ব্যস্ত একটি সড়কের কথা। অক্সিজেন মোড় থেকে গিয়ে যা যুক্ত হয়েছে মুরাদপুরে। ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য মাস চারেক আগে কাটা হয় সড়কটি। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও আর ফেরেনি আগের রূপে।
এমন চিত্র চট্টগ্রামের জন্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। অহরহই দেখা মেলে এমন ক্ষতবিক্ষত রাস্তার। যদিও কাটা সড়ক সংস্কারের জন্য নিয়মানুযায়ী সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় অর্থ দেয় ওয়াসা, তারপরও হয় না সংস্কার। উল্টো এ নিয়ে পরস্পরকে দুষছে সংস্থা দুটি। আর এ সমন্বয়হীনতার কারণে সৃষ্ট ভোগান্তিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
শুধুমাত্র সর্বশেষ ৩টি প্রকল্পেই কর্পোরেশনকে দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জানান এখনও সিটি কর্পোরেশনকে কিছু টাকা দেয়া বাকি, কাজে হাতে দেবেন তারপরেই। তিনি আরও বলেন, প্রতিটা কাজেই সিটি কর্পোরেশনের সাথে আমাদের বৈঠক হয়। তারা আমাদের যেখানে ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে, সেখানে আমরা কাজ করছি।
এদিকে অর্থ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও৷ তবে সড়কের বেহাল দশার জন্য ওয়াসাকে দায়ী করেন তিনি। তার ভাষ্য, পারমিশন আমরা দিই ঠিক আছে। টাকা আমরা পাই, সেও ঠিক আছে। কিন্তু কাটা কতটুক হচ্ছে, ১০ ফিটের জায়গায় ১৫ ফিট হচ্ছে কিনা- এসব আমাদের কাউন্সিলদেরকে অবহিত করে করা হোক।
ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামে খণ্ড খণ্ড করে আরও প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক কাটা পড়বে বলে জানিয়েছে ওয়াসা।
Leave a reply