প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা দুদকের সাবেক উপ-পরিদর্শক মফিজুর রহমানের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা, অর্থের স্থানান্তর ও রুপান্তরের অভিযোগে সিআইডির দায়ের করা মামলায় তাকে আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ (১৫ নভেম্বর) সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান এর ভার্চুয়াল দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এম মাসুদ হোসেন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
এজাহার মতে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রার্থীদের নিয়োগের মাধ্যমে তাদের নিকট হতে অর্থ গ্রহণ করে। অবৈধভাবে অর্জিত এসব আয় হতে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বিনিয়োগ করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করায় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহীনুল ইসলাম গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মফিজুরসহ মোট তিনজনকে আসামি করা হয়।
মফিজুর রহমান ২০০৪ সালে দুদকে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় গ্রেফতার হন। তিনি ঢাকা ডিআইটি প্রজেক্ট, মেরুল বাড্ডাস্থ পুনর্বাসন এলাকায় ১৮০০ বর্গফুট বা ২ কাটা ৮ ছটাক জায়গা তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামে ক্রয় করেন। তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানার স্কুলে যাতায়াতের জন্য একটি টয়োটা এক্স গাড়ি স্ত্রীর বোনের জামাই জাহিদুর রহমানের নামে ক্রয় করেন।
Leave a reply