এমএ পাস করেও মেলেনি চাকরি। চপ ভেজে সংসার চালাচ্ছেন ভারতের বিশ্বজিৎ কর মোদক নামে এক যুবক। তার দোকানের নাম রেখেছেন ‘চপ শিল্প’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাকের প্রতিবেদনে জানা যায়, একটা সময় চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন বিশ্বজিৎ। গৃহশিক্ষকের কাজ করেও সংসারের হাল না ফেরায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল তার। কয়েক বছর পর স্থানীয় ব্লকে চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে যোগ দিলেও নিয়মিত বেতন না মেলায় সমস্যায় পড়েছিলেন। অবশেষে সাবলম্বী হতে ‘চপ শিল্প’ নাম রেখে ঠেলাগাড়িতে চপ বেচে আয় করছেন তিনি।
মানভূম মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন বিশ্বজিৎ। পরে ২০১০ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তারপর ডিপ্লোমা ইন অ্যালিমেন্টরি অ্যাডুকেশন কোর্স করেন। সম্প্রতি বিয়েও করেন। চাকরির আশায় কয়েক বছর বসেই ছিলেন।
এরপর ‘ভিলেজ রিসোর্স পার্সনতে’ চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু, তাতেও সংসারের হাল ফেরেনি। স্বল্প বেতনে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে তার। গৃহশিক্ষক হিসেবে এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়াতে শুরু করেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু সেই একই সমস্যা। কয়েক মাস ছাড়া ছাড়া বেতন মিলত ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে। পারিশ্রমিক নিয়মিত না মেলায় সংসার চালানো নিয়ে বিপাকে পড়ে যান। তাই চপের দোকান খোলার পরিকল্পনা করেন তিনি।
বান্দোয়ান বন দফতরের রাস্তার পাশে ‘চপ শিল্প’ নামে ঠেলাগাড়িতে চপের দোকান খোলেন বিশ্বজিৎ। চপ, ভেজিটেবল চপ, ঘুঘনি, মুড়ি, রুটি, ডিম সিদ্ধ, চা সবই বিক্রি করেন ওই ঠেলাগাড়িতে।
Leave a reply