‘মেয়েদের সাথে বেহেশতে দেখা হবে, সেদিন উপহার হিসেবে ন্যায়বিচার সাথে নিবো’

|

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের একজন জনপ্রিয় গাইনি বিশেষজ্ঞ ইজেলদিন আবু এলাইস। ২০০৯ সালে ইসরায়েলি সেনা ও হামাসের মধ্যে চলা সহিংসতায় প্রাণ হারায় তার তিন সন্তান ও এক ভাগনি। তাদের হত্যার বিচারের দাবিতে লড়ছেন তিনি।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে ক্ষতিপূরণ এবং সর্বসম্মুখে ইহুদি সেনাদের অপরাধ স্বীকারের আবেদন করেন আবু এলাইস।

২০০৯ সালে হামাস এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে চলা সহিংসতায় তার বাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় মর্টারশেল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় চারজন। বাকিরা আহত অবস্থায় পার করছেন বিভীষিকাময় জীবন।

গাজা উপত্যকায় ২২ দিনের সহিংসতার অবস্থা জানাতে কিছুদিন আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যম ‘চ্যানেল টেনে’ সংযুক্ত হওয়ার কথা ছিলো জনপ্রিয় এ গাইনি বিশেষজ্ঞের। কিন্তু টেলিফোনে সংযোগ স্থাপনের পরপরই মেলে ভয়াবহ এ তথ্য।

সন্তান হত্যার জন্য বরাবরই তিনি দায়ী করেছেন ইসরায়েলকে। যদিও সেই হামলাকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ঘাড়ে ফেলতেই তৎপর ইসরায়েলি সেনারা। তাই এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেন তিনি। চাইলেন ক্ষতিপূরণ এবং সর্বসম্মুখে ইহুদি সেনাবাহিনীর দায় স্বীকার ।

আবু এলাইস বলেন, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মেয়েদের সাথে বেহেশতে দেখা হবে। সেদিন তাদের জন্য উপহার হিসেবে ন্যায়বিচার সাথে নিবো আমি। এর মাধ্যমে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতায় প্রাণ হারানো সবার আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের জন্য আদালতের এমন আচরণ কষ্টদায়ক। এজলাসে বসেই আমার কন্যা শাদা বলছিলো, আমরা যে হামলার শিকার, এতোদিন পর সেটার প্রমাণ কেন দিতে হবে? যেখানে তথ্য-প্রমাণ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার সেখানে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

আবু এলাইসের আইনজীবী হুসেইন আবু হুসেইন বলেন, ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আমাদের আর্জি ছিলো, মামলাটির শুনানিতে হস্তক্ষেপ করুন। ২০০৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ইহুদি সেনারা যে অপরাধ করেছে তার দায়ভার নিজেদের কাঁধে নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই।

২০১৮ সালে, ইসরায়েলের নিম্ন আদালত রায় দেন, চিকিৎসকের বাড়িতে চালানো হামলা এবং সন্তানদের মৃত্যু ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধকালীন নীতিমালার আওতাভুক্ত। এসব ক্ষেত্রে সরকার ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য নয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply