লিবিয়া উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা থেকে ১০ জনকে মৃত এবং ৯৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা মেডিসিন সান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ)। ১৩ ঘণ্টা ছোট কাঠের নৌকাটির নিচে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে শ্বাস নিতে না পেরে ঐ ১০ জন মারা যান বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জেনেভা-ভিত্তিক সেই সংস্থা এমএসএফ জানায়, তাদের স্বেচ্ছাসেবকেরা আকাশপথে টহল দিচ্ছিলেন। সে সময় লিবিয়া সৈকত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি বিপৎসংকেত পান তারা। সেটিতে সাড়া দেয় উদ্ধারকারী জাহাজ জিও ব্যারেন্টস। তারপর উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছে একটি কাঠের নৌকার তলায় ১০ জনের মরদেহ খুঁজে পান।
বর্তমানে নারী-শিশুসহ ১৮৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন জিও ব্যারেন্টসে, যাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স মাত্র ১০ মাস। বিপদগ্রস্ত এসব লোককে দ্রুত তীরে নামতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এমএসএফ।
এদিকে, চাইলেই এই মৃত্যু ঠেকানো যেতো মন্তব্য করে এমএসএফ তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছে, এসব ব্যক্তি ১৩ ঘণ্টা সমুদ্রে ভেসে থাকার পর দমবন্ধ হয়ে মারা যান। ২০২১ সালে এসে আমরা এটি কীভাবে মেনে নিতে পারি?
এমন দুর্ঘটনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘সুস্পষ্ট ব্যর্থতা’ বলে মনে করছে সংগঠনটি। তাদের ভাষ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিপজ্জনক অভিবাসন নীতি এবং পুশব্যাক সুষ্ঠুভাবে তদারক করতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রহণযোগ্য জটিলতা তৈরিই আসলে এই মৃত্যুগুলোর জন্য দায়ী।
চলতি বছর বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অন্তত ৫৯ হাজার আশ্রয়প্রার্থী ইতালি উপকূলে পৌঁছেছেন, যা গত বছরের তুলনায় অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ভয়ংকর এই রুট পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২৩৬ জন।
Leave a reply