নুসরাত-নিখিলের বিয়ে অবৈধ ঘোষণা আদালতের

|

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান এবং তার স্বামী নিখিল জৈনের সম্পর্ক আদতে ‘বিয়ে’ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার এক আদালত। তাদের মধ্যে যে নিয়ম মেনে বিয়ে হয়েছে তা আইনত বিয়ের তকমা দেয়া যায় না বলেও রায় আদালতের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

এ নিয়ে নিজেই একটি মামলা দায়ের করেছিলেন নিখিল। অনেক আগেই মানসিকভাবে আলাদা হয়ে গেছেন তারা। এবারে আইনগতভাবেও হলেন পৃথক। যদিও এরই মধ্যে যশের সন্তানের মা হয়ে নিজের মতো জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন নুসরাত। আদালতের এই রায়ে নিখিলও খুশি। তার মতে, যেহেতু বিয়েই বৈধ নয়, তাই নুসরাত আমার কাছ থেকে ভরণপোষণ চাইতে পারবে না।

মূলত, ২০১৯ সালে তুরস্কের বোডরামে বিয়ে হয় ব্যবসায়ী নিখিল ও নুসরাতের। ভারতে ফিরে একসাথে থাকতে শুরু করেন তারা। তবে এরপর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। অভিনেতা যশকে নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্যও চরমে পৌঁছায়। এরপর থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। তবে এক পর্যায়ে নিজের সম্পর্ককে কেবল ‘সহবাস’ হিসেবে আখ্যা দেন নুসরাত। এরপরই মামলা করেন নিখিল।

তার দাবি, নুসরাত মুসলিম এবং নিখিল হিন্দু হলেও ‘বিশেষ বিয়ে’র কোনো নিয়মই তারা পালন করেননি। সেখানে পশ্চিমা এবং ভারতীয় স্টাইল, উভয়ই অনুসরণ করা হয় এবং হিন্দু বিয়ের সব আচার পালন করা হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় আদালত তাদের বিয়েকে খারিজ করে দেন।

এ নিয়ে নিখিল জানান, এটি আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমার বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। নুসরাতের সাথে থাকা অবস্থায় জন্মদিন কী তা বুঝিনি। ২০১৯ সালে সে হাসপাতালে ছিল, ২০২০ সালে যশকে নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সবমিলে জন্মদিনের আনন্দ এতদিন বুঝতেই পারিনি। এখন তা অনুভব করছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply