চীনের দুঃখ যদি হয় হোয়াংহো নদী, তবে চীনা রেস্তোরাঁর দুঃখ বোধ হয় এবার ফুড ভ্লগারদের বলাই যায়। এমনিতেই ফুড ভ্লগারদের নিয়ে তটস্থ থাকে যেকোনো দেশের রেস্তোরাঁ। নেগেটিভ রিভিউয়ের আশঙ্কায় ক্যামেরা নিয়ে অনেক রেস্তোরাঁতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ।
তবে নেগেটিভ রিভিউয়ের জন্য নয়, চীনের ফুড ভ্লগার ক্যাং এমন একটা কারণে নিষিদ্ধ হলেন, যেটি অন্য কোনো রেস্তোরাঁয় যেকোনো কাস্টমার করলে তাকে ফুলের তোড়ায় স্বাগত জানানো হতো পরেরবারগুলোতে! হ্যাঁ, শুনতে অদ্ভুত শোনালেও, বেশি খাওয়ার ‘অপরাধে’ই চিরতরে ক্যাং-এর জন্য বন্ধ হলো এক রেস্তোরাঁর দরজা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে চীনের চাংশা শহরে। আর আলোচ্য রেস্তোরাঁটির নাম ‘হানদাদি সি ফুড বারবিকিউ বাফেট’। সেখানে প্রথমার গিয়ে ক্যাং খেয়েছিলেন দেড় কেজির মতো শূকরের পায়ের মাংস। পরেরবার গিয়ে শুধু চিংড়িই খেয়েছিলেন সাড়ে তিন কেজি থেকে চার কেজি। তাতেই নিষেধাজ্ঞা জুটলো ক্যাং-এর ভাগ্যে।
এতে অবশ্য যারপরনাই বেজার ক্যাং। এমন ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণের প্রতিবাদে তিনি বলেন, আমি বেশি খেতে পারি, এটা কি কোনো দোষের কিছু? আমি তো কোনো খাবার নষ্ট করিনি।
রেস্তোরাঁর মালিক অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্য, বেশ বেকায়দাতেই পড়েছিলেন তিনি ক্যাং-এর জন্য। সে এলেই নাকি তার পকেট ফাঁকা করে দিয়ে যেতেন। তিনি বলেন, ক্যাং যখন দুধ খেতেন, ২০ থেকে ৩০ বোতল খালি করে দিয়ে যেতেন। মাংসের দিকে তার নজর পড়লে পুরো ট্রে খালি হয়ে যেত। আর অন্যরা যেখানে চিমটি দিয়ে চিংড়ি তোলেন, সেখানে ক্যাং পুরো ট্রেটাই দখলে নিতেন।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ভালোই চর্চা হচ্ছে সামাজিকমাধ্যমে। কেউ কেউ রেস্তোরাঁর মালিককে ভাবছেন ‘বেচারা’। আবার অনেক নেটিজেন বলছেন, খাবার দিতে না পারলে বুফে রেস্তোরাঁ খোলার মানেটা কী!
Leave a reply