গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে উনি একমুখো শুনেছেন, তাই হয়তো এমনটা হয়েছে। তারপরও তিনি দেশের ও দলের অভিভাবক। উনি যা ভালো মনে করেন আমি তা মাথা পেতে নেব।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।
দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো ভুল বোঝানো হয়েছে। উনি সঠিকটা জানলে কোনো দিনই এই ব্যবস্থা নিতেন না’।
প্রসঙ্গত, এক বিতর্কিত ফুটেজ প্রকাশের জের ধরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় অন্দরমহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির। গাজীপুরের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ বর্ষীয়ান নেতা আজমত উল্লাহ ভুঁইয়াকে নিয়েও কিছু স্পর্শকাতর মন্তব্য তিনি করেন। এসবের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা নেয়ার গুঞ্জন।
Leave a reply