চলছে ইলিশের মৌসুম। কিন্তু নদীতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রূপালি ঝিলিকের। লোকসানের ভয়ে জাল গুটিয়ে রেখেছেন বহু জেলে। ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ার তীরে অলস বসে আছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। কোনোভাবেই ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না এই এলাকার জেলেদের। চরম কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছেন জেলেরা। দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে এনজিও আর মহাজনের কাছ থেকে নেয়া চড়া সুদের ঋণ। জেলে ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, নাব্য সংকটের কারণে নদীতে ইলিশ কম মিলছে।
জেলেরা বলছেন, হাতেগোনা যে ইলিশ মিলছে তাও আকারে ছোট। লাভ তো দূরের কথা খরচও তুলতে পারছেন না তারা। মৎস্যঘাটগুলোতেও নেই আগের মতো হাকডাক।
তবে নদীতে না মিললেও গভীর সাগরে ইলিশ মিলছে প্রচুর। জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলি জমে দিন দিন নাব্য সংকট তীব্র হচ্ছে নদীতে। তাই ক্রমেই ইলিশ ধরা পড়ার পরিমাণও কমছে।
জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে একমত মৎস্য কর্মকর্তারাও। ভোলা জেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মাহফুজুল হাসনাইন বলছেন, নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না মেলার জন্য চর জেগে ওঠাসহ আরও বেশকিছু কারণই দায়ী।
প্রতি বছর ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই মৎস্য অফিসের কাছে। তথ্য পাওয়া গেলে এখনকার সংকটের মাত্রা ও সমাধান নির্ণয় করা সহজ হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a reply