ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির প্রতিবাদে উত্তাল ইউরোপ। বিভিন্ন দেশে চলছে বিক্ষোভ। লকডাউন আর কড়াকড়ির প্রতিবাদে সহিংসতা ছড়িয়েছেও কয়েকটি দেশে।
প্রায় দু’বছর ধরে চলছে করোনার দাপট। এসময়ের মধ্যে একের পর এক কড়াকড়িতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। তাই নতুন করে লকডাউনের নির্দেশে ক্ষুব্ধ অস্ট্রিয়ার মানুষ।
দেশটিতে সোমবার (২২ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ২০ দিনের পূর্ণাঙ্গ লকডাউন। আছে বাধ্যতামূলক টিকার নির্দেশও। তারই প্রতিবাদ জানাতে রাজধানী ভিয়েনায় জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ।
আন্দোলনে অংশ নেয়া একজন বলেন, আমরা স্বাধীনতা চাই। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। করোনার একনায়কতন্ত্র চলছে।
আরও একজন বলেন, আমরা লকডাউন মানি না। সরকার যেসব কড়াকড়ি আরোপ করছে তার বিরোধিতা জানাচ্ছি। দুই বছর হতে চললো পরিস্থিতির কোনো উন্নতিই নেই। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নতুন কড়াকড়ি। কবে শেষ হবে এসব?
করোনা বিস্তার রোধে নেদারল্যান্ডসে আরোপ হয়েছে তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। রটারডামের পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়েছে হেগসহ কয়েকটি শহরে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় পুলিশ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত অনেকে। আটক করা হয়েছে ৭ জনকে।
বিক্ষোভো অংশ নেয়া একজন বলেন, ডাচ ইতিহাসের অন্ধকারতম এক সময়ে আছি। চিকিৎসা নিয়ে, স্বাস্থ্য নিয়ে জনগণের ভিন্ন মত থাকতে পারে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
অপর একজন আন্দোলনকারী বলছেন, এটা ভালো সমাধান হলো? বাড়িভাড়া, দোকান ভাড়া দিতে হয়। ট্যাক্স দিতে হয়। সেগুলো মাফ হচ্ছে না। অথচ আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে চলবো?
গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র আর বিনোদনকেন্দ্রে গ্রিনপাস বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ইতালিতে। সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলক টিকার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে ক্রোয়েশিয়ার মানুষও।
Leave a reply