ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকায় ‘ওপেন ভোট’ নেয়ার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে হুমকি

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান সওদাগর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর ও সরাইল উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ৩১৮টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের শুরুতেই নবীরগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ‘ওপেন ভোট’ নেয়ার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান সওদাগরের বিরুদ্ধে।

সকাল সোয়া ৮টার দিকে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান সওদাগর। কেন্দ্রটিতে সকাল থেকেই ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কেন্দ্রে এসেই চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে ওপেন ভোট নেয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল খায়েরকে চাপ দেন মুজিবুর রহমান। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দেন মুজিবুর রহমান। এ নিয়ে কেন্দ্রে হট্টগোল হলে পুলিশ এসে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনসভায় প্রকাশ্যে হুমকি, ‘নৌকার বিপক্ষে একটা ভোট কাটলে ৫টা লাশ পড়বে’

তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান সওদাগরের মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল খায়ের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসে ওপেন ভোট নেয়ার জন্য আমাকে চাপ দেন। আমি রাজি না হয়ে গোপন কক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বললে- তিনি বলেন, আমি প্রিজাইডিংয়ের বাপ। পরে আমি কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছি।

আরও পড়ুন: পুলিশ খুজঁছে ‘নৌকার বিপক্ষে ভোট দিলে ৫টা লাশ পড়বে’ বলা ছাত্রলীগ নেতাকে

এ বিষয়ে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে আসি। কেন্দ্রে এসে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তিকে পাইনি। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছে।