আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা নিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পণ্য শতভাগ স্ক্যানিংয়ের পর আবারও খুলে পরীক্ষা করা হয়। এতে নষ্ট হচ্ছে সময় ও পণ্যের গুণগত মান। পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। এ কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির জন্য চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দরের দিকে ঝুঁকছেন। তবে কাস্টমস কমিশনার বলছেন, শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতেই আমদানিকৃত পণ্য কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মোংলা সমুদ্র বন্দরকে গতিশীল করতে চ্যানেলে ড্রেজিংসহ চলছে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম। ব্যয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। বন্দরে জাহাজ আসা বাড়লেও কন্টেইনারবাহী জাহাজের সংখ্যা একেবারেই কম। গত অর্থ বছরে মোংলা বন্দরে রেকর্ড ৯৭০টি জাহাজ আসে। এর মধ্যে কন্টেইনারবাহী জাহাজ ছিল মাত্র ৫১টি। চলতি অর্থবছরে এখনও পর্যন্ত কন্টেইনারবাহী জাহাজ এসেছে মাত্র ১২টি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মোংলা বন্দরে আমদানি পণ্য শতভাগ স্ক্যানিংয়ের পর প্রতিটি আবারও খুলে পরীক্ষা করা হয়। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হয় সময় ও পণ্যের গুণগত মান, অন্যদিকে খরচও বেড়ে যায়। পাশাপাশি হয়রানি তো আছেই। আর একারণে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকছেন চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দরের দিকে। তারা বলছেন, হয়রানির বিষয়ে কাস্টমস কমিশনারের কাছে বারবার অভিযোগ করেও সমাধান পাননি।
তবে কাস্টম কমিশনার বলছেন, মোংলা বন্দরে শুল্ক ফাঁকির বেশ প্রবণতা রয়েছে। এটি ঠেকাতেই কঠোরভাবে পণ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর পদ্মা সেতু চালু হলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা অনেক বাড়বে বলে মনে করেন মোংলা কাস্টমস হাউজ কমিশনার হোসেন আহমদ। মোংলা সমুদ্র বন্দরে গত অর্থবছরে শুল্ক ফাঁকির ৪ শতাধিক মামলা হয়েছে বলেও জানান কাস্টমস কমিশনার।
/এসএইচও
Leave a reply