আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

|

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ। ১৯৭১ সালে এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। রচনা করে মৃত্যু বিভীষিকা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাধীন মানচিত্র অর্জনের এক বীরত্বগাঁথা।

ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর, পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত বাঙালির স্বাধিকার চেতনার উন্মেষ ঘটে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ৫৪, ৬২, ৬৯ পেরিয়ে ধাপে ধাপে তা স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসে জেগে ওঠে নিরীহ বাঙালি।

২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় বর্বর গণহত্যা চালায়। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের পথপ্রদর্শক। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, লাখো নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে দল-মতনির্বিশেষে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে হবে। এ ছাড়া বাণী দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply