ভ্যাকসিন বণ্টনে বিশ্বনেতাদের বৈষম্য দূর করতে হবে: বান কি মুন

|

সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে না পারলে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সব ধরণের বৈষম্য দূর করার তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। করোনা মোকাবিলায় টিকার ন্যায্যবন্টনের তাগিদ দেন তিনি।

করোনার বাস্তবতায় আয়োজনে আসতে পারেননি অতিথীদের অনেকেই, তাই যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়ালি। নিজেদের বক্তব্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনসহ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তারা। করোনা মোকাবিলায় টিকার ন্যায্যবন্টনের তাগিদ দেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব। এসময় বান কি মুন বলেন, ভ্যাকসিন বন্টনে বৈষম্য দূর করতে হবে বিশ্বনেতাদের। সেটি না করতে পারলে পৃথিবী করোনামুক্ত করা খুবই কঠিন।

সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়- বঙ্গবন্ধুর দেখানো সেই পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশের কূটনীতি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। সম্মেলনে শান্তির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেন, জানান, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছে সরকার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ করতে পারে। জাতীয়তাবাদ-রক্ষণশীলতা-সামরিকতন্ত্র বা সন্ত্রাসবাদের মত বিষয়গুলো যুদ্ধ বাধায় আর শান্তি নষ্ট করে। এজন্য শান্তি প্রতিষ্ঠার টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী সাম্য ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ বা বিশ্বাস নির্ভর বৈষম্য দূর করতে হবে। সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে সমান সুযোগ। পৃথিবীর মানুষের জন্যই ন্যায্য আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জরুরি। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই একই গ্রহের বসিন্দা এবং এর প্রতি সবারই দায়িত্ব আছে।

দুদিনের এ আয়োজনে সশরীরে ৪০ ও ভার্চুয়ালি যোগ দিচ্ছেন ৭০ জন বিদেশি অতিথি। রোববার সমাপণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply