২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষে দল হিসাবে বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর কেটে গেছে ২১ বছর। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আশানুরূপ জয় এনে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সময়ে খেলা ১২৫ টেস্টে মাত্র ১৫টি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের এই খারাপ পারফরম্যান্সের দায়টা ব্যাটিং-ফিল্ডিং-বোলিং, এই তিন ডিপার্টমেন্টের উপরেই। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বোলিং ইউনিটের ছন্নছাড়া পেস ডিপার্টমেন্টের।
এই যেমন, চলমান মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন সকালের ময়েশ্চার আর মেঘলা আবহাওয়ার পরও ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের দুই পেসার। ৫৭ ওভারের মধ্যে মাত্র ১৩ ওভার এবাদত ও খালেদকে দিয়ে করিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম স্পেলে ৫, দ্বিতীয় স্পেলে ১ আর তৃতীয় স্পেলে ৩ ওভার বল করে উইকেটশূন্য এবাদত। আর খালেদকে দিয়ে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করিয়েছেন টাইগার দলপতি।
পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারেও একই দশা টাইগার পেসারদের। এখন পর্যন্ত এবাদত ৯ টেস্টে নিয়েছেন মাত্র ১০ উইকেট। খালেদের অবস্থা আরও খারাপ। মিরপুর টেস্টের আগে খেলা দুই ম্যাচে কোনো উইকেটই পাননি এই পেসার।
আরও পড়ুন: রোনালদোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাকে সাফল্য এনে দিতে সাহায্য করেছে: মেসি
গত ৫ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব পেসারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঘরের মাঠে ৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট নিয়েছেন এখন টেস্ট থেকে দূরে থাকা মোস্তাফিজ। ৪ ম্যাচে ১১ উইকেট আবু জায়েদ রাহীর। এবাদত হোসেন তিন ম্যাচে দুই, আরিফুল হক ২ ম্যাচে ১ আর শফিউল ইসলাম একমাত্র ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি।
পেসারদের এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্স টাইগারদের ম্যাচ হারের বড় কারণ। আরও বড় হতাশার বিষয় পেস ডিপার্টমেন্টে উন্নতির কোনো তাগিদ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। পেস ফাউন্ডেশন কেবল পরিকল্পনার খাতাতেই বন্দি।
Leave a reply