ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মুন্সিগঞ্জে আলুর ফলন নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ে চাষি। এরইমধ্যে বৃষ্টিতে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর বীজে পচন ধরেছে। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ক্ষতির মুখে পড়েছে ১৪০ কোটি টাকা। তবে কৃষকদের দাবি, এই মৌসুমে তাদের অনেকেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। অন্যদিকে দফায় দফায় বীজের দাম বাড়ায় নতুন করে আবাদ নিয়েও আছে শঙ্কা।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মুন্সিগঞ্জে পচে গেছে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির বীজ, টানা বৃষ্টিতে যশোর সবজিসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। মৌসুমের শুরুতেই জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টি। তলিয়ে যায় মুন্সিগঞ্জের সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর আলুর জমি। রোপন করা ২৭ হাজার টন বীজের অধিকাংশেই ধরেছে পচন।
কৃষিবিভাগ বলছে, হেক্টরপ্রতি কৃষকের খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকার বেশি। সে হিসেবে ১৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে। তবে কৃষকদের মতে, ক্ষতির অংক এই হিসেবের দ্বিগুণ।
বড় ধরনের লোকসান ও বিপর্যয়ে সর্বশান্ত অনেকের নতুন করে নেই আবাদের সামর্থ। বাড়তি চাহিদার কারণে বীজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। ক্ষতিগ্রস্তদের সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার দাবি কৃষকদের।
মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম জানালেন, বিষয়টি জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। বীজ ও সারের দর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাসও দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল চলবে আজ
চলতি বছর জেলার ৩৭ হাজার ৯শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে হয়েছে আবাদ।
/এডব্লিউ
Leave a reply