ফিলিস্তিনে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত, বয়কট করলো হামাস

|

ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলাদলির মধ্যেই দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অনুষ্ঠিত হলো স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন। গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দেড় শতাধিক লোকালয়ে হয় কাউন্সিলর ভোট। গণতান্ত্রিক চর্চায় অংশ নেয়া ফিলিস্তিনিরা জানান, দল-মতের প্রভাবমুক্ত যোগ্য প্রার্থীকেই তারা চান ক্ষমতায়। এদিকে, চলতি বছর জাতীয় নির্বাচন বাতিল করায় স্থানীয় পর্যায়ের ভোট বয়কট করেছে সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাস।

১৫৪ লোকালয়ের ২২০ কাউন্সিলর আসনে প্রার্থী বাছাই করলেন ৪ লাখ ভোটার। অঞ্চলটিতে হামাস-ফাতাহ্’র রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট। তবে, সাধারণ জনগণ চান দল-মতের প্রভাবমুক্ত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে।

এক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, গণতান্ত্রিক জীবনব্যবস্থা ফিরছে ফিলিস্তিনে। আমাদের আশা, ভোটের ফলাফলেও দেখবো এর প্রতিফলন। আল আউজা এলাকায় একজন সৎ মানুষ চাই। যে জনকল্যাণে কাজ করবেন, নেবেন ফিলিস্তিনের দায়দায়িত্ব।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি ক্ষোভ ঝরে পড়েছে আরেক ভোটারের কণ্ঠে। বলেছেন, ভোটের কোনো বিকল্প নেই। আমার প্রত্যাশা, পার্লামেন্ট নির্বাচনও এভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস কোনো অজুহাত দেখিয়ে সেটি বানচাল করবেন না, এমনটাই আশা।

আরও পড়ুন: ২০ গ্রামের রিভলভার, বিপজ্জনক হওয়ায় জারি হয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও

সবশেষ, ২০১৭ সালে পশ্চিম তীরে হয় স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন। কিন্তু গেলো ১৫ বছর ধরে গাজা ভূখণ্ডে হয়নি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা। স্থানীয় কাউন্সিল প্রার্থী রাইদা শাওলহা বলেন, শুধু নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের জন্যেই নির্বাচনে লড়ছি না। জয়ের পর নারী উন্নয়ন এবং কল্যাণে পাস করাতে চাই নতুন আইন। কারণ, ফিলিস্তিনি নারীরা শিক্ষায় আধুনিক হওয়ার পরও অনেকটাই পিছিয়ে আছে।

ভোটের আগেই জরিপ চালিয়েছিল ‘ফিলিস্তিন পলিসি এন্ড সার্ভে রিসার্চ সেন্টার’। যাতে উঠে আসে, রাজনৈতিক কোন্দলের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চান ভোটাররা। ফিলিস্তিনের পলিসি এন্ড সার্ভে রিসার্চ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ ওয়ালিদ লাদাদেহ্ বলেন, জরিপে দেখেছি ভোটাররা চান ফিলিস্তিনিদের উন্নয়নে কাজ করুক জনপ্রতিনিধিরা। এর বাইরে, সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হামাসের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, স্থানীয় নয় সুষ্ঠুভাবে হোক জাতীয় নির্বাচন।

ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে দ্বিতীয় ধাপের স্থানীয় নির্বাচনের পর। সেই ভোটের দিন ধার্য আছে ২৬ মার্চ।

আরও পড়ুন: হ্যাক হলো মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply